সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গবেষণা বলছে মানুষ মূলত ভালো!

মানুষ মূলত ভালো, খারাপ মানুষের চেয়ে ভালো মানুষের সংখ্যাই বেশি এমন কথা অহরহ আমরা বলে যাই। তবে তা বরাবরই ধারণাভিত্তিক।

এবার খোদ গবেষণা দিয়েই তা প্রমাণ করে দিলেন মনোবিজ্ঞানীরা। তাদের গবেষণালব্দ জ্ঞান বলছে অধিকাংশ মানুষই আসলে নিজের জন্য ভালো কাজটি বেছে নেয়। মানুষের মস্তিষ্ক মন্দ পথে অর্থ উপার্জনের চেয়ে ভালো পথের আয়ে বেশি সায় দেয়।


গবেষণাটি করেছে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন। এর বিজ্ঞানীরা ভিন্ন ভিন্ন পথে অর্থ আয়ে মস্তিষ্ক কিভাবে সাড়া দেয়, সেটাই গবেষণা করে বের করেছেন।

গবেষণার মূল লেখক ড. মলি ক্রোকেট এ নিয়ে বললেন, আমরা যখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে থাকি তখন আমাদের মস্তিষ্ক দ্রুত তার ভিন্ন ভিন্ন দিকগুলোর ভালোমন্দ বিচার করে নেয়। মস্তিষ্কের নানা অংশের মধ্যে একটা হিসাব-নিকাশের চালাচালিও চলে। দেখা গেছে এই নেটওয়ার্কে মন্দের প্রতি সাড়া কম। আর অধিকাংশ মস্তিষ্কই বার্তা দিতে থাকে অন্যের ক্ষতি করে কোনও আয়ে তার আগ্রহ নেই।

‘আমাদের গবেষণা বলছে, অধিকাংশ মানুষের কাছে অর্থ বড় কোনও বিষয় নয়,’ বলেন ক্রোকেট।

গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের বলা হলো তারা ইলেক্ট্রিক শক দেবেন কিংবা নেবেন। আরেকজনের গায়ে শক দিলে দেওয়া হবে একটি নির্দিষ্ট অংকের অর্থ আর নিজের গায়ে শক নিলেও পাবেন সমপরিমান অর্থ। মোট আটাশ জুটি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। আর যখন তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন তখন পুরো প্রক্রিয়াটিতে মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে তা স্ক্যান করা হয়। বলাই বাহুল্য শকগুলো ব্যাথাদায়ক ছিলো তবে সহনীয় পর্যায়ে।

শক দিলেন কিংবা নিলেন, যে কোনওটার বিনিময়েই মিলবে অর্থ। আর দেখা গেলো অন্যের গায়ে শক দিয়ে অর্থ নেওয়ার চেয়ে বরং নিজেই শক নিতে চাইলেন বেশি সংখ্যক মানুষ। এ দিয়ে তাদের নৈতিকতার বিষয়টিই স্পষ্ট হলো। কারণ অর্থ পাবেন জেনেও তারা অন্যকে সামান্য হলেও অমন আঘাত দিতে চাননি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের আয়তন

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলই সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস নিয়ে গঠিত । এই ক্যাম্পাসগুলতে রয়েছে বিশাল জায়গা এবং একজন ছাত্রের জ্ঞানচর্চার নানা উপাদান । জেনে নিন আয়তনের দিক থেকে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কত বড় । ১. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৫৪ একর) ২. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (১১৯৬ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ৩. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৭৫৩ একর) ৪. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (৬৯৭ একর) ৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (৬০০ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ৬. শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৩২০ একর) ৭. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া (১৭৫ একর) ৮. চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৬৩ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ৯. রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৫২একর) ১০. হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৩০ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ১১. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (১০৬ একর) ১২. খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০১ একর) ১৩. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০১ একর)...

বাংলা টাইপিং এ যুক্তাক্ষর

বিজয় বাংলা টাইপ করার অতি পরিচিত সফটওয়্যার । আমরা যারা বাংলা টাইপ করি বা বাংলায় লেখালেখি করি তাদের অনেকেরই যুক্তাক্ষর জনিত সমস্যা হয় । এই সমস্যা মুক্ত হবার জন্য যুক্তাক্ষরগুলোর টাইপিং প্রনালী দেয়া হলো । বাংলা টাইপিং এ যারা দুর্বল তাদের কাজে লাগবে। ১. ক্ষ = ক+ষ ২. ষ্ণ = ষ+ণ ৩. জ্ঞ = জ+ঞ ৪. ঞ্জ = ঞ+জ ৫. হ্ম = হ+ম ৬. ঞ্চ = ঞ+চ ৭. ঙ্গ = ঙ+গ ৮. ঙ্ক = ঙ+ক ৯. ট্ট = ট + ট ১০. ক্ষ্ম = ক্ষ + ম = ‍ক + ষ + ম ১১. হ্ন = হ + ন ১২. হ্ণ = হ + ণ ১৩. ব্ধ = ব + ধ ১৪. ক্র = ক + ্র (র-ফলা) ১৫. গ্ধ = গ + ধ ১৬. ত্র = ত + ্র (র-ফলা) ১৭. ক্ত = ক + ত ১৮. ক্স = ক + স ১৯. ত্থ = ত + থ (উদাহরন: উত্থান, উত্থাপন) ২০. ত্ত = ত + ত (উদাহরন: উত্তম, উত্তর, সত্তর) ২১. ত্ম = ত + ম (উদাহরন: মাহাত্ম্য) নিচের যুক্তবর্ণের তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে ল িখতে সহায়ক হতে পারে। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়। ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/ বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত...

আইবি এ সম্পর্কে কিছু তথ্য

আইবিএ কি?? . আইবিএ হলো ইন্সটিটিউট অফ বিজনেস এ্যাডমিন্সট্রেশন। বাংলাদেশের মানুষের কাছে যে কয়ঠি ড্রিগ্রি খুব বেশি সম্মানিত হয় তার একটি হলো আইবিএ থেকে এমবিএ।বাংলাদেশের যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ থেকে এমবিএ ড্রিগ্রি দেওয়া তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র আইবিএ সবার উপরে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র আইবিএ তে ভর্তি হতে পারা অনেকটা স্বপ্নের মত।বলা যেতে পারে আইবিএ তে পড়তে পারলে জব আপনার পিছনে ঘুরবে আপনি জবের পিছনে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় র আইবিএ সম্মধে একটু আলোচনাঃ . ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করে ১৯৬৬ সালে।আইবিএ সংক্রান্ত দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিক্ষাপীঠ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।পূর্বে বছরে একবার করে এমবিএ(মাস্টার্স অফ বিজনেস এ্যাডমিন্সট্রেশন) কোর্সে ভর্তি করানো হত।কিন্তু বর্তমানে দুবার করে নেওয়া হয়। দেশের মাত্র তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইবিএ ডিগ্রি নেওয়া সম্ভব,তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করে জাবি র আইবিএ।অপরদিকে দেশের দ্বিতীয় সর্ব্বোচ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ...