সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আইবি এ সম্পর্কে কিছু তথ্য

আইবিএ কি??
.
আইবিএ হলো ইন্সটিটিউট অফ বিজনেস এ্যাডমিন্সট্রেশন। বাংলাদেশের মানুষের কাছে যে কয়ঠি ড্রিগ্রি খুব বেশি সম্মানিত হয় তার একটি হলো আইবিএ থেকে এমবিএ।বাংলাদেশের যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ থেকে এমবিএ ড্রিগ্রি দেওয়া তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র আইবিএ সবার উপরে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র আইবিএ তে ভর্তি হতে পারা অনেকটা স্বপ্নের মত।বলা যেতে পারে আইবিএ তে পড়তে পারলে জব আপনার পিছনে ঘুরবে আপনি জবের পিছনে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় র আইবিএ সম্মধে একটু আলোচনাঃ
.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করে ১৯৬৬ সালে।আইবিএ সংক্রান্ত দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিক্ষাপীঠ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।পূর্বে বছরে একবার করে এমবিএ(মাস্টার্স অফ বিজনেস এ্যাডমিন্সট্রেশন) কোর্সে ভর্তি করানো হত।কিন্তু বর্তমানে দুবার করে নেওয়া হয়।
দেশের মাত্র তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইবিএ ডিগ্রি নেওয়া সম্ভব,তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করে জাবি র আইবিএ।অপরদিকে দেশের দ্বিতীয় সর্ব্বোচ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ যাত্রা শুরু করে ২০০০ সালের দিকে।বলে রাখা ভালো,আইবিএ মানে শুধু একটি ড্রিগ্রি না,এটি একটি লাইফস্টাইল।ঢাবি, জাবি,রাবি তিনটার আইবিএ পরিবেশই অসাধারণ,যদিও আইবিএ বলতে সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র আইবিএ কেই বোঝে।
.
আইবিএ তে আবেদনের জন্য কি লাগবে??
.
দেশের মধ্যে এতটা সম্মানসমৃদ্ধ একটি ডিগ্রি অর্জনের জন্য আপনাকে এসএসসি,এইচএসসি তে গোল্ডেন এ+ পেতে হবেনা, কিংবা অনার্স লেভেলে ফার্স্ট ক্লাস ও দরকার নেই।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না?? কিন্তু বিশ্বাস করতে হবে আপনাকে।অনার্স লেভেলে আপনার সিজিপিএ যদি ২.৫+ থাকে তাহলেই আপনি আইবিএ আবেদনের জন্য যোগ্য।অনেকেই হয়ত মনো করতে পারেন আমি তো অনার্স লেভেলে বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়িনি, আমি কি আইবিএ তে পড়ার যোগ্যতা রাখি?? অবশ্যই যোগতা রাখেন,আইবিএ তে এটা ম্যাটার করেনা যে আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন,আপনি ন্যাশনাল ভার্সিটি,ডিগ্রি,বিশ্ববিদ্যালয় যেখান থেকেই অনার্স করেন না কেন,সিজিপিএ ২.৫+ থাকলেই আপনি আইবিএ তে আবেদনের যোগ্য, আর এটিই আইবিএ র স্বতন্ত্রতা।আইবিএ বিচারর করবে আপনার প্রেজেন্ট কোয়ালিটি, আপনার প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা ম্যাটার না।তাই যারা জাতীয় তে পড়ছেন আর ভাবছেন জীবন শেষ,তাদের বলি,না জীবন শেষ না,এখনো জীবনে অনেক কিছু করে দেখানোর আছে।আইবিএ ন্যাশনাল,ডিগ্রি তে পড়া ছেলেমেয়ে প্রায় প্রতিটা বছরই থাকে।তাই সাহস রাখুন,আপনিও পারবেন।
.
সবই তো বুঝলাম,ভাইয়া আইবিএ তে পড়ার খরচ কেমন.......
.
MBA তে খরচ কয় ৮৭ হাজার টাকা,যেখানে ভর্তির সময়ই ৪৮০০০ টাকা নিয়ে নেওয়া হয়।MBA দুই প্রকারের
১.Regular MBA
২.Executive MBA
বলে রাখা ভালো যে Executive MBA করতে আপনার ৩ বছরের মত কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন এবং এতে খরচের পরিমাণ ও রেগুলার এমবিএ থেকে বেশি,এটি পার্ট টাইম কোর্স যেটি বিকালে ক্লাস করতে হয়।আর রেগুলার কোর্সে খরচের পরিমাণ কম এবং সাথে রেগুলারলি ক্লাস করতে হয়।এমবিএ তে জুলাও সেশনে সিট ৬০টি, রেগুলার ক্লাস সপ্তাতে চারদিন পাঁচ সাবজেক্ট আর ডিসেম্বর সেশনে সিট ১২০ টি এক্ষেত্র ২-৩ টি সাবজেক্ট নিতে হয় এবং আপনি চাকরিও করতে পারবেন।

আই বি এ, কিভাবে আই বি এ তে পড়বো, আই বি এ তে ভর্তি , ভর্তি হউন আই বি এ তে

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের আয়তন

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলই সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস নিয়ে গঠিত । এই ক্যাম্পাসগুলতে রয়েছে বিশাল জায়গা এবং একজন ছাত্রের জ্ঞানচর্চার নানা উপাদান । জেনে নিন আয়তনের দিক থেকে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কত বড় । ১. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৫৪ একর) ২. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (১১৯৬ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ৩. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৭৫৩ একর) ৪. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (৬৯৭ একর) ৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (৬০০ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ৬. শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৩২০ একর) ৭. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া (১৭৫ একর) ৮. চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৬৩ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ৯. রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৫২একর) ১০. হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৩০ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ১১. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (১০৬ একর) ১২. খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০১ একর) ১৩. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০১ একর)...

বাংলা টাইপিং এ যুক্তাক্ষর

বিজয় বাংলা টাইপ করার অতি পরিচিত সফটওয়্যার । আমরা যারা বাংলা টাইপ করি বা বাংলায় লেখালেখি করি তাদের অনেকেরই যুক্তাক্ষর জনিত সমস্যা হয় । এই সমস্যা মুক্ত হবার জন্য যুক্তাক্ষরগুলোর টাইপিং প্রনালী দেয়া হলো । বাংলা টাইপিং এ যারা দুর্বল তাদের কাজে লাগবে। ১. ক্ষ = ক+ষ ২. ষ্ণ = ষ+ণ ৩. জ্ঞ = জ+ঞ ৪. ঞ্জ = ঞ+জ ৫. হ্ম = হ+ম ৬. ঞ্চ = ঞ+চ ৭. ঙ্গ = ঙ+গ ৮. ঙ্ক = ঙ+ক ৯. ট্ট = ট + ট ১০. ক্ষ্ম = ক্ষ + ম = ‍ক + ষ + ম ১১. হ্ন = হ + ন ১২. হ্ণ = হ + ণ ১৩. ব্ধ = ব + ধ ১৪. ক্র = ক + ্র (র-ফলা) ১৫. গ্ধ = গ + ধ ১৬. ত্র = ত + ্র (র-ফলা) ১৭. ক্ত = ক + ত ১৮. ক্স = ক + স ১৯. ত্থ = ত + থ (উদাহরন: উত্থান, উত্থাপন) ২০. ত্ত = ত + ত (উদাহরন: উত্তম, উত্তর, সত্তর) ২১. ত্ম = ত + ম (উদাহরন: মাহাত্ম্য) নিচের যুক্তবর্ণের তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে ল িখতে সহায়ক হতে পারে। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়। ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/ বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত...