সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পরিধেয় ডিভাইসের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ আসবে ব্যবহারকারীর শরীর থেকেই


যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অ্যাট বাফেলো, নিউ ইয়র্ক আর চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স (সিএএস)-এর গবেষকরা একটি ধাতব ট্যাব বানিয়েছেন। এই ট্যাব মানবশরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ব্যবহারকারীর আঙ্গুল ভাঁজ করা বা অন্যান্য নড়াচড়ায় এটি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।  

এই ট্যাবটি হচ্ছে একটি ট্রাইবোইলেকট্রিক ন্যানোজেনারেটর। এটি যান্ত্রিক শক্তিকে ইলেকট্রনিক্যাল ডিভাইসগুলোর জন্য বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত করতে পারে।

ইউনিভার্সিটি অ্যাট বাফেলো’র সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণা প্রধান কিয়াওকিয়াং গ্যান বলেন, “মানবশরীর শক্তির একটি বড় উৎস। আমরা মনে করেছি- ‘কেন আমরা একে আমাদের নিজেদের শক্তি তৈরিতে ব্যবহার করব না?’”

ন্যানো এনার্জি জার্নালে এই ট্যাবের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এই ট্যাবে সোনার দুটি পাতলা স্তর আছে। এই দুটি স্তরের মাঝে রাখা আছে পলিডাইমিথাইলজিলোক্স্যান। একে পিডিএমএস-ও বলা হয়, এটি হচ্ছে কনটাক্ট লেন্স বা অন্যান্য পণ্যে ব্যবহৃত সিলিকনভিত্তিক একটি পলিমার। একটি আঙ্গুল যদি ভাঁজ হয় তখন গতিটি সোনার স্তর আর পিডিএমএস-এর মধ্যে ঘর্ষণ তৈরি করে।

আইওপি-এর পধ্যাপক ইয়ান শু বলেন, “যত বেশি ঘর্ষণ হবে তত বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে।”

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেড় সেন্টিমিটার লম্বা ও এক সেন্টিমিটার প্রস্থের এই ট্যাব সর্বোচ্চ ১২৪ ভোল্টের ১০ মাইক্রোঅ্যাম্প বিদ্যুৎ প্রবাহ করতে পারবে। বিদ্যুৎ সরবরাহের সর্বোচ্চ ঘনত্ব হবে প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ০.২২ মিলিওয়াট।

এটি একটি স্মার্টফোনকে দ্রুত চার্জ করতে যথেষ্ট নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে। কিন্তু এটি একাধারে ৪৮টি এলইডি লাইট জাল্বাতে সক্ষম।

বিদ্যুৎ প্রবাহ বাড়াতে গবেষক দলটি  সোনার বড় টুকরা ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। সেই সঙ্গে এই ট্যাব থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সংরক্ষণের জন্য একটি বহনযোগ্য ব্যাটারি বানানোর চেষ্টাও করবেন তারা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের আয়তন

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলই সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস নিয়ে গঠিত । এই ক্যাম্পাসগুলতে রয়েছে বিশাল জায়গা এবং একজন ছাত্রের জ্ঞানচর্চার নানা উপাদান । জেনে নিন আয়তনের দিক থেকে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কত বড় । ১. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৫৪ একর) ২. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (১১৯৬ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ৩. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৭৫৩ একর) ৪. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (৬৯৭ একর) ৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (৬০০ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ৬. শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৩২০ একর) ৭. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া (১৭৫ একর) ৮. চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৬৩ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ৯. রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৫২একর) ১০. হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৩০ একর) © বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য ও সহযোগিতা কেন্দ্র ১১. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (১০৬ একর) ১২. খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০১ একর) ১৩. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০১ একর)...

বাংলা টাইপিং এ যুক্তাক্ষর

বিজয় বাংলা টাইপ করার অতি পরিচিত সফটওয়্যার । আমরা যারা বাংলা টাইপ করি বা বাংলায় লেখালেখি করি তাদের অনেকেরই যুক্তাক্ষর জনিত সমস্যা হয় । এই সমস্যা মুক্ত হবার জন্য যুক্তাক্ষরগুলোর টাইপিং প্রনালী দেয়া হলো । বাংলা টাইপিং এ যারা দুর্বল তাদের কাজে লাগবে। ১. ক্ষ = ক+ষ ২. ষ্ণ = ষ+ণ ৩. জ্ঞ = জ+ঞ ৪. ঞ্জ = ঞ+জ ৫. হ্ম = হ+ম ৬. ঞ্চ = ঞ+চ ৭. ঙ্গ = ঙ+গ ৮. ঙ্ক = ঙ+ক ৯. ট্ট = ট + ট ১০. ক্ষ্ম = ক্ষ + ম = ‍ক + ষ + ম ১১. হ্ন = হ + ন ১২. হ্ণ = হ + ণ ১৩. ব্ধ = ব + ধ ১৪. ক্র = ক + ্র (র-ফলা) ১৫. গ্ধ = গ + ধ ১৬. ত্র = ত + ্র (র-ফলা) ১৭. ক্ত = ক + ত ১৮. ক্স = ক + স ১৯. ত্থ = ত + থ (উদাহরন: উত্থান, উত্থাপন) ২০. ত্ত = ত + ত (উদাহরন: উত্তম, উত্তর, সত্তর) ২১. ত্ম = ত + ম (উদাহরন: মাহাত্ম্য) নিচের যুক্তবর্ণের তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে ল িখতে সহায়ক হতে পারে। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়। ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/ বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত...

আইবি এ সম্পর্কে কিছু তথ্য

আইবিএ কি?? . আইবিএ হলো ইন্সটিটিউট অফ বিজনেস এ্যাডমিন্সট্রেশন। বাংলাদেশের মানুষের কাছে যে কয়ঠি ড্রিগ্রি খুব বেশি সম্মানিত হয় তার একটি হলো আইবিএ থেকে এমবিএ।বাংলাদেশের যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ থেকে এমবিএ ড্রিগ্রি দেওয়া তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র আইবিএ সবার উপরে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র আইবিএ তে ভর্তি হতে পারা অনেকটা স্বপ্নের মত।বলা যেতে পারে আইবিএ তে পড়তে পারলে জব আপনার পিছনে ঘুরবে আপনি জবের পিছনে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় র আইবিএ সম্মধে একটু আলোচনাঃ . ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করে ১৯৬৬ সালে।আইবিএ সংক্রান্ত দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিক্ষাপীঠ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।পূর্বে বছরে একবার করে এমবিএ(মাস্টার্স অফ বিজনেস এ্যাডমিন্সট্রেশন) কোর্সে ভর্তি করানো হত।কিন্তু বর্তমানে দুবার করে নেওয়া হয়। দেশের মাত্র তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইবিএ ডিগ্রি নেওয়া সম্ভব,তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করে জাবি র আইবিএ।অপরদিকে দেশের দ্বিতীয় সর্ব্বোচ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ...